সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন
কালের খবর :- দেশের উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেতু’ উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি’র শুভ উদ্বোধন করেন।
এ সেতু বাস্তবায়নের ফলে রংপুরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হয়েছে। আর মধ্য রমজানে ধরলা নদীর উপর নির্মিত দ্বিতীয় সেতুটি উদ্বোধন করে তা এই তিন জেলার মানুষকে ঈদ উপহার হিসেবে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সেতুটির পূর্বপাড়ে ব্যাপক প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। নির্মাণ করা হয়েছে মঞ্চ ও প্যান্ডেল। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জনদুর্ভোগ লাঘবে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে আমি গিয়েছি। কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের প্রতিটি উপজেলায় গিয়েছি। সেখানকার মানুষের সমস্যার কথা শুনেছি। সরকারে আসার পর এসব মানুষের উন্নয়নে নানা উদ্যোগও নিয়েছি।
তিনি বলেন, ‘ধরলা নদীর উপর প্রথম সেতু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই হয়েছিল। এবার ধরলার দ্বিতীয় সেতুটি কুড়িগ্রাম, রংপুর ও লালমনিরহাটের মানুষকে আমি ঈদ উপহার হিসেবে দিয়েছি। এটি আপনারা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।’
শেখ হাসিনা তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘অবহেলিত অঞ্চলকে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের আওতায় এনেছি। এসব অঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছি, কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিচ্ছি। অবহেলিত অঞ্চলের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সার্বিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দাবি করতে পারি, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মঙ্গা দূর করেছিলাম। ২০০১ সালে বিএনপি এলে আবার মঙ্গা দেখা দেয়। ২০০৯ সালে আমরা আবার ক্ষমতায় আসার পর মঙ্গা দূর করেছি। এখন আর ওই এলাকায় মঙ্গা নেই।’
‘জাতির পিতা এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য। তার লক্ষ্যই ছিল মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন। জাতির পিতার যে স্বপ্ন, যে আকাঙ্ক্ষা, ভাগ্যের পরিবর্তন সেটাই আমার লক্ষ্য। জাতির পিতার বড় সন্তান হিসেবে আমি সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’
দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন ।